
বাইডেন-মোদির কথোপকথনে উঠেছিল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ, ফের জানাল ভারত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে সাম্প্রতিক টেলিফোন কথোপকথনে উঠেছিল বাংলাদেশ সংলাপ। এমন দাবি করে বিষয়টি সামনে এনেছিল ভারত। তবে ওই কথোপকথন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদির সঙ্গে বাইডেনের কথা বলার প্রসঙ্গ উঠে আসেনি। তবে ভারত ফের দাবি করেছে, ওই কথোপকথনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠেছিল।
গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ তথ্য জানান।
ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নে সাংবাদিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কথোপকথন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের অনুপস্থিতির ‘অসঙ্গতি’ দেখেছেন তারা।
এর জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোনো দিকের অনুপস্থিতি কথোপকথনে তার অনুপস্থিতির প্রমাণ নয়।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মধ্যে কথোপকথনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবগত। আপনাদের (সাংবাদিকদের) বলতে পারি, ওই কথোপকথনে কী কথা হয়েছে তার নির্ভুল ও বিশ্বস্ত রেকর্ড আমাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তি।’
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, প্রথমত, নেতাদের মধ্যে কথোপকথনের পর প্রকাশিত বিবৃতিগুলো হুবহু নয়, যেখানে প্রতিটি শব্দ আলোচনা এবং পারস্পরিক সম্মতিতে হয়। দ্বিতীয়ত, মুখপাত্র বলেছেন, এই জাতীয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এই জাতীয় কথোপকথনের বিস্তৃত পাঠের জন্য নয়।
তিনি বলেন, দুই পক্ষের একই কথোপকথনের নিজ নিজ পাঠের ভিন্ন ভিন্ন দিকের ওপর জোর দেওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশের যে বিষয়টি আপনারা তুলে ধরেছেন, যেমনটা কোনো কোনো মহল থেকে তুলে ধরা হয়েছে, তা নিয়ে দুই নেতাই যথেষ্ট আলোচনা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদেরকে বলতে চাই, এই দাবিগুলো অজ্ঞতাবশত, প্রবণতামূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নেতাদের মধ্যে এই জাতীয় যোগাযোগগুলো কীভাবে সংগঠিত হয় এবং তার পরেরপ্রক্রিয়াটির বিষয়ে সম্পূর্ণ না জানাও একটি কারণ।’
গত সোমবার নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। দুই নেতা দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
মোদি বলেন, ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা দ্রুত ফিরিয়ে আনতে ভারতের পূর্ণ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি।’ দুই নেতা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলেও জানায় ভারত।
তবে হোয়াইট হাউস তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অবশ্য বাংলাদেশ ইস্যু এড়িয়ে গেছে। আর এ জন্যই বাইডেন-মোদির কথোপকথনে আসলেই বাংলাদেশ ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।