October 8, 2025, 3:08 pm
শিরোনাম:
পুঠিয়ায় সোহেল হত্যা মামলার আসামীদের সীমান্তবর্তী দুই এলাকা থেকে আটক ২ রাজশাহীর পুঠিয়ায় সোহেল হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ ৭৫ তম বর্ষে ভাবনা ও প্রতিমার জন্য ছিনিয়ে নিলেন, সেরা প্রতিমা সম্মান ২০২৫ মহাজাতি নগর সার্বজনীন দুর্গোৎসব শুভ উদ্বোধন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০২৫ ১০ তম বর্ষে ভাবনা ও প্রতিমার জন্য ছিনিয়ে নিলো ,সেরা প্রতিমা সম্মান ২০২৫ দুর্গাপূজার আগে কলকাতা প্রেস ক্লাবে” নবদুর্গা মাতৃরূপেন সংস্থিতা” ছবির বহুল প্রতীক্ষিত ট্রেলার প্রকাশিত পুজোয় ধামাকা অফার “হাবিবস” স্যালন বাংলাভাষীদের উপর বিজেপির সন্ত্রাস এবং বাংলার বিদ্বেষ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ধর্মতলা স্ট্রিট হকার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এক বিশাল মিছিল পুঠিয়ায় ভ্রাম্যমাণ অভিযানে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা বঙ্গ গৌরব সম্মান ২০২৫ এবং মিশন বিশ্ব গুরু ভারত ও সেভ বেঙ্গল কমিউনিটি এন্ড কালচার জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করা হলো
এইমাত্র পাওয়া
*** নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক সাদাকালো*** জেলা প্রতিনিধি*** ভিডিও কনটেইনসহ সিভি পাঠান।**dainiksadakalo@yahoo.com**
কৃষিতে নতুন দিগন্ত: রঙিন মুলা চাষে হেক্টরে ১৫-১৮ টন উৎপাদন
181 Time View
Thursday, December 19, 2024
বাকৃবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ রং-বেরঙের মুলার জাত নিয়ে পরীক্ষামূলক গবেষণায় সফলতা লাভ করেছেন।
গবেষক জানান, বাংলাদেশে সাধারণত লম্বা আকৃতির মুলা পাওয়া গেলেও দেশে প্রথমবারের মতো ৮টি রঙিন গোলাকার ও ডিম্বাকৃতির জাত ও ৬টি রঙিন লম্বা বিদেশী জাত এবং ৩টি দেশী জাতসহ মোট ১৭টি দেশী ও বিদেশী রঙিন জাতের মুলা নিয়ে গবেষণা করছি ।
অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ বলেন, বিদেশে, বিশেষ করে আমেরিকা, ইউরোপ, ব্রিটেন ও জাপানে রঙিন গোলাকার মুলাকে সাধারণত ‘সালাদ মুলা’ হিসেবে খাওয়া হয়। তবে, আমাদের দেশের আবহাওয়া ও মাটিতে পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই রঙিন মুলার জাতগুলো সঠিকভাবে চাষ করা সম্ভব কি না, তা জানতেই আমরা এই পরীক্ষামূলক গবেষণা পরিচালনা করেছি। বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষ মুলাকে সবজি হিসেবে রান্না করে খায়, তবে অনেকেই এর ঝাঁজ এবং হালকা গন্ধের কারণে কাঁচা খেতে আগ্রহী নয়। তবে গোলাকার রঙিন মুলায় সামান্য ঝাঁজ থাকলেও কাঁচা খাওয়ার পর কোনো গন্ধ অনুভূত হয় না। এর আকর্ষণীয় রঙ এবং আকৃতি কারণে, শসার বিকল্প হিসেবে এই রঙিন মুলাকে সালাদে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা সম্ভব।
অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ আরো জানান, যেহেতু এটি রঙিন বর্ণের সেহেতু এটি এন্থোসায়ানিন ও এন্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এই মুলা মানুষের ডায়াবেটিস কমাবে, রক্তের সুগার ব্যাপকভাবে কমাবে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাবে, উচ্চ রক্তচাপ কমাবে, অতি নিম্ন ক্যালরির হওয়ায় ডায়েটের জন্য এটি খুবই আদর্শ এবং মুলাতে ওরাল এন্টিকার্সিনোজেনিক কম্পাউন্ড থাকে যা মানবদেহের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এজন্য উন্নত দেশে গোলাকার রঙিন মুলা একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় সালাদ।  এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার রয়েছে। এই ফাইবার মানবদেহের হজমশক্তি বর্ধনে সাহায্য করে। মুলার রূপান্তরিত মূলের চেয়ে পাতায় বেশি পুষ্টিগুণ থাকে।
অধ্যাপক হারুন বিস্তারিতভাবে বলেন, মুলা সাধারণত শীতকালীন সবজি হিসেবে সুপরিচিত। আমাদের এই রঙিন মুলার ক্ষেত্রে শীতের মৌসুমে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ দিনেই ফলন পাওয়া সম্ভব। দেশে প্রচলিত জাতগুলোর ফলন পেতে অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ দিন অপেক্ষা করতে হয়। এক মৌসুমে কমপক্ষে তিনবার ফলন পাওয়া যেতে পারে এই গোলাকার রঙিন মুলার। সাধারণত আমেরিকা ও ব্রিটেনে গোলাকার রঙিন মুলার গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ১৮-২০ টন। তবে আমাদের এই পরীক্ষামূলক গবেষণায় গোলাকার রঙিন মুলার হেক্টরপ্রতি ফলন প্রায় ১৫ থেকে ১৮ টন পর্যন্ত পাওয়া গেছে এবং মূলাপ্রতি গড় ওজন পাওয়া গেছে ৭০ থেকে ৮০ গ্রাম। কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং এটি দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় ব্যাপকভাবে অবদান রাখবে।
অধ্যাপক হারুন আরো বলেন, এই পরীক্ষামূলক গবেষণাটি আমরা পুরোপুরি নিজস্ব অর্থায়নেই পরিচালনা করেছি। তবে রঙিন মুলার জাত নির্বাচন, উন্নয়ন এবং পুষ্টিগুণ নির্ণয়ের জন্য সরকারি এবং বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।  রঙিন মুলা চাষে রোগ, বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ খুবই কম পাওয়া গেছে। গ্রোথের দিক থেকে এটি প্রচলিত দেশীয় মুলার তুলনায় কোনো অংশে পিছিয়ে নেই।
আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category