
বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের কাছ থেকে এক কেজি ধানও কিনতে পারেনি ঝিনাইদহের শৈলকুপা খাদ্য গুদাম।
গত ১৭ নভেম্বর সরকারিভাবে আমন মৌসুমের ধান চাল ক্রয়ের উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ৪০ দিন পেরিয়ে গেলেও কৃষক ও মিলারদের থেকে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি।
এদিকে কৃষকদের মতে, বাজারে ধানের মূল্য ও সরকার নির্ধারিত মূল্য প্রায় সমান। এ কারণে খাদ্য গুদামে ধান দিতে তাদের অনিহা। যার ফলে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে আমন মৌসুমের উৎপাদিত ধান ও চাল ক্রয় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর আমন মৌসুমে সরকারিভাবে কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ধান ৩৩ টাকা ও সেদ্ধ চাল ৪৭ টাকা দরে ক্রয়মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে। এ বছর এ উপজেলায় ধান ক্রয়ে সরকারি এ্যাপস-এর মাধ্যমে কৃষক নির্বাচিত করে ১৮৯২ মেঃ টন ধান ও মিলারদের থেকে ৪১৯ মেঃ টন চাল ক্রয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ ফেব্রয়ারী ২০২৫ পর্ষন্ত ধান চাল সংগ্রহের শেষ সময়।
এ বিষয়ে উপজেলার হরিহরা গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, বাজারে বর্তমান প্রতিমন ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ শত টাকা দরে। আর সরকারি গুদামে নির্ধারিত মূল্য প্রতি মণ ১৩২০ টাকা। বাজারের থেকে সরকারি মূল্য কম। এছাড়া খাদ্য গুদামে ধান দিতে গিয়ে সময় অপচয় ও বাড়তি লেবার খরচও হয়ে থাকে। তাই বাজারেই ধান বিক্রি করছেন তারা।
এদিকে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনজুর হোসেন জানান, ধানের বাজার মূল্য সরকারি বাজার মূল্য থেকে বেশি বলে উদ্বোধনের পর এখন কোনো কৃষকই ধান নিয়ে গুদামে আসেননি। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ধান সংগ্রহের ব্যাপারে। তবে, ইতিমধ্যে ১৯৫ মে. টন চাউল ক্রয় করা হয়েছে।