শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
রাজশাহী মহানগরীর ১৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আল-মামুনের ইন্তেকাল পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদকের গডফাদারকে নিয়ে রাজশাহী-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী’র প্রচারণা রাজশাহীতে নিখোঁজের চার দিন পর শয়নকক্ষ থেকে লাশ উদ্ধার ঢাকায় বড় ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা: ২১ লাখ ভবন ঝুঁকিতে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজধানীতে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট শেখ হাসিনার রায় ঐতিহাসিক -অন্তর্বর্তী সরকার, শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড বিশেষ ট্রাইব্যুনালের রায়কে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা: রাজধানীজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ শুরু, দরিদ্র ও মেধাবীদের পাশে সিটি প্রশাসন পরিবর্তনের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা, ভোট দিতে প্রস্তুত জনগণ : অধ্যাপক আবুল কালাম
এইমাত্র পাওয়া
*** নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক সাদাকালো*** জেলা প্রতিনিধি*** ভিডিও কনটেইনসহ সিভি পাঠান।**dainiksadakalo@yahoo.com**
প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরানোর ঘটনায় আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের নিন্দা, শাস্তির দাবি
/ ২০৬ Time View
শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪, ৪:২৭ অপরাহ্ন

প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরানোর ঘটনায় আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের নিন্দা, শাস্তির দাবি

ন্যাশনাল ডেক্স:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীমা সুলতানার কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সরিয়ে ফেলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ।

আজ শুক্রবার সংগঠনটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ এ মামুন ও সদস্যসচিব অধ্যাপক বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে ওই অধ্যাপকের শাস্তির দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৪৭ জন শিক্ষকের নাম উল্লেখ করা থাকলেও অনেকেই বিবৃতির বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীমা সুলতানা কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে শিক্ষার্থীদের হত্যা, হামলা, নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করে নিজ কার্যালয় থেকে তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) ছবি সরিয়ে ফেলেন।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নামিয়ে ফেলার মাধ্যমে অধ্যাপক শামীমা সুলতানা দেশের আইন ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করেছেন। তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০০২ সালের ২৭ মার্চের সরকারি কার্যালয়, আদালত ও প্রতিষ্ঠানে সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি টানানোর পরিপত্রটি লঙ্ঘন করেছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তিনি শুধু প্রতিকৃতি নামিয়ে ফেলেননি; অধিকন্তু প্রতিকৃতি নামিয়ে কার্যালয়ে বসে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বক্তব্যে তিনি সরকারপ্রধানকে ‘খুনি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, যা অত্যন্ত গর্হিত ও নিন্দনীয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা জানাতে চাই, তিনি বাংলা বিভাগের সভাপতির কক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্থাপিত প্রতিকৃতি টানানোর স্থান থেকে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরিয়ে ফেলেছেন। সভাপতির কক্ষটি তাঁর ব্যক্তিগত কক্ষ নয় এবং তিনি এককভাবে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরানোর মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আমরা তাঁর এই হীন ও গর্হিত কাজে জড়িত থাকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং দেশের প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।

অধ্যাপক শামীমা সুলতানার কার্যালয়ের একটি ছবি গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে শামীমা সুলতানাকে চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায়। তাঁর পেছনে দেয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দেখা গেলেও পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিল না। এ বিষয়ে গতকাল তিনি প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘তাঁর (প্রধানমন্ত্রীর) জন্য এই মুহূর্তে ঘরে পর্যন্ত কেউ নিরাপদ নন। তাঁর হাতে অসংখ্য শিক্ষার্থীর রক্ত লেগে আছে। যাঁর জন্য বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান হুমকির মুখে পড়ে যায়, তাঁর ছবি আমার কার্যালয়ে কীভাবে রাখি? আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যকলাপের কারণে মানুষের হৃদয়ে আর নেই। তাই বঙ্গবন্ধুর ছবি রেখেছি। কিন্তু তাঁর ছবি সরিয়ে ফেলেছি।’

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category