October 8, 2025, 8:17 am
শিরোনাম:
পুঠিয়ায় সোহেল হত্যা মামলার আসামীদের সীমান্তবর্তী দুই এলাকা থেকে আটক ২ রাজশাহীর পুঠিয়ায় সোহেল হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ ৭৫ তম বর্ষে ভাবনা ও প্রতিমার জন্য ছিনিয়ে নিলেন, সেরা প্রতিমা সম্মান ২০২৫ মহাজাতি নগর সার্বজনীন দুর্গোৎসব শুভ উদ্বোধন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০২৫ ১০ তম বর্ষে ভাবনা ও প্রতিমার জন্য ছিনিয়ে নিলো ,সেরা প্রতিমা সম্মান ২০২৫ দুর্গাপূজার আগে কলকাতা প্রেস ক্লাবে” নবদুর্গা মাতৃরূপেন সংস্থিতা” ছবির বহুল প্রতীক্ষিত ট্রেলার প্রকাশিত পুজোয় ধামাকা অফার “হাবিবস” স্যালন বাংলাভাষীদের উপর বিজেপির সন্ত্রাস এবং বাংলার বিদ্বেষ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ধর্মতলা স্ট্রিট হকার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এক বিশাল মিছিল পুঠিয়ায় ভ্রাম্যমাণ অভিযানে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা বঙ্গ গৌরব সম্মান ২০২৫ এবং মিশন বিশ্ব গুরু ভারত ও সেভ বেঙ্গল কমিউনিটি এন্ড কালচার জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করা হলো
এইমাত্র পাওয়া
*** নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক সাদাকালো*** জেলা প্রতিনিধি*** ভিডিও কনটেইনসহ সিভি পাঠান।**dainiksadakalo@yahoo.com**
মীর মুগ্ধকে হত্যার ঘটনার ৪ মিনিটের ভিডিও প্রকাশ
146 Time View
Friday, January 17, 2025

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান মীর মুগ্ধর হত্যার ঘটনায় তার পরিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালে এসে অভিযোগ দায়ের করেন মুগ্ধর যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ ও বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত।

অভিযোগ দাখিলের পর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুগ্ধ গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে একটা বিতর্ক ছিল, গুলিটা পুলিশ করেছে নাকি বাইরের কারো থেকে করানো হয়েছে। অথবা স্নাইপার থেকে করা হয়েছে কিনা। তবে আমাদেরকে কাছে যে প্রমাণাদি আছে, তার মাধ্যমে আমরা বলতে পারি পুলিশের পক্ষ থেকে এই গুলি চালানো হয়েছে। আমরা যে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি সেখানে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের গুলিতেই মুগ্ধ মারা গেছে।’

এদিকে মুগ্ধ ’র বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান দিপ্ত বলেন, ‘এই ছয় মাসে হত্যাকাণ্ডের বিষয় যতটুকু প্রমাণ বের করা সম্ভব, তা আমরা নিজ উদ্যোগেই করেছি। যেহেতু প্রথম দিকে প্রশাসন পুরোপুরি অকার্যকর অবস্থা ছিল, তাই আমরা নিজ উদ্যোগে এই কাজটি করেছি। নিজ উদ্যোগে আমাদের সকল ধরনের ভিডিও ফুটেজ, সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করতে হয়েছে।’

দীপ্ত আরও বলেন, ‘মুগ্ধের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পাওয়া ভিডিওর পুরোটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তার হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ আছে, তার বিচারের বিষয়ে সেটা আমরা সরকারের কাছে আশা করতেই পারি। কিন্তু এই ফুটেজ কালেক্ট করা আমাদের দায়িত্ব ছিল না, এটা প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল। যেহেতু এটা নিজ উদ্যোগে করেছি, তাই আমাদের এখন আশা থাকবে ভিডিওটিকে ফরেনসিকের মাধ্যমে তাদের চেহারাকে পরিষ্কার করে, একজন একজন করে আসামিদেরকে নিয়ে এসে সুষ্ঠু বিচার কার্য করবে। আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য শুধু ন্যায়বিচার পাওয়া।’

দীপ্ত জানান, আমরা ট্রাইবুনালে অভিযোগ করেছি মুগ্ধের পুরো ঘটনাটার ওপর। চিত্র প্রসিকিউটরও আমাদের এ বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। আমরা প্রাথমিক অভিযোগে কোনো নাম দিইনি। তারাই এটিকে নিয়ে তদন্ত করবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণাদিসহ ক্রমান্বয়ে নামগুলো আসবে। এই প্রাণঘাতী অস্ত্র কে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে এসব বিষয়সহ একে একে নামগুলো আসবে। যে কারণে আমাদের অভিযোগে কোনো নাম দেইনি আমরা। আমরা আশা রাখছি এই সরকার এবং ট্রাইবুনাল আমাদের আশা পূরণ করতে সক্ষম হবে।

তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সুপেরিয়র হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওউপর এর দায়ভার যায়, যা আমরা সবাই জানি। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, তথ্য প্রমাণের কারণে সেই পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব হয় না। বিচারকার্যে প্রমাণাদি হচ্ছে সবচেয়ে মুখ্য বিষয়। তাই কোনো এভিডেন্স ছাড়া যদি আমরা সেই প্রক্রিয়ায় যাই, তাহলে বিচারকার্য বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আমরা চাই না এই বিচারকার্য বাধাগ্রস্ত হোক। আমরা যাতে ন্যায় বিচার পাই সেজন্যই আমরা এভাবে চেয়েছি।’

মুগ্ধের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বড় ভাই দীপ্ত বলেন, ‘মুগ্ধ যেখানে মারা যায় তার ১০ কদম দূরেই হাসপাতাল ছিল। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তাররা তাকে স্পটডেড ঘোষণা করেন। সেখানে আমাদের পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। তখন হাসপাতালে ডাক্তাররা আমাদেরকে বারবার বলছিল মরদেহ দিয়ে যাওয়ার জন্য। কারণ, পুলিশ আসলে পরবর্তীতে আমরা মরদেহ নাও পেতে পারি। পরে সেখান থেকে ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে আমরা দ্রুত বাসায় মরদেহ নিয়ে যাই।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘মুগ্ধ’র মরদেহ কবরস্থ করার সময়ও আমাদেরকে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। মরদেহ দাফন করার জন্য পুলিশের এনওসি’র প্রয়োজন হয়। এর জন্য আমরা থানায় গিয়েছি। কিন্তু থানা থেকে আমাদেরকে বলে দেওয়া হয়েছে, তাদের এখন কলমের একটি দাগ দেওয়ারও অনুমতি নেই।’

প্রসঙ্গত, মুগ্ধর পরিবারের পক্ষ থেকে সংগ্রহ করা ভিডিও ফুটেজ ও ছবি নিয়ে তৈরি একটি তথ্যচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তথ্যচিত্রের শুরুতে মুগ্ধকে নিয়ে ‘ভাইরাল’ হওয়া একটি ভিডিও রয়েছে। সেখানে মুগ্ধকে বলতে শোনা যায়, ‘ভাই পানি লাগবে কারও, পানি।’

উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর মুগ্ধর নিথর দেহের পাশে পানির বোতলের কেস পড়ে ছিল। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ছবি ও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মধ্যে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category