
যেভাবে আটক হলেন মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত
ন্যাশনাল ডেস্ক:
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া হয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় সাংবাদিক মোজাম্মেল হক বাবু ও শ্যামল দত্তসহ চারজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় জনতা।
গতকাল রবিবার শেষ রাতে সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করেন স্থানীয়রা। পরে আজ সোমবার সকালে তাদেরকে ধোবাউড়া থানায় সোপর্দ করা হয়।
এ সময় একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত ছাড়াও একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুবুর রহমান ও তাদের গাড়িচালক সেলিমকে আটক করে এলাকাবাসী।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. চাঁন মিয়া।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সাধারণ জনতা সীমান্ত এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। আটক হওয়া চারজন বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।’
এ দিকে জানা গেছে, স্থানীয় থানা থেকে ঢাকায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
তবে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আটকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট মামলায় তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
এ বিষয়ে আটক একাত্তর টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বাড়ি ময়মনসিংহ সদরে। আমাকে আমার স্যার মোজাম্মেল হোসেন বাবু সীমান্তে পৌঁছে দিয়ে আসার কথা বলেন। পরে আমি তাকে নিয়ে আসার পথে কয়েকটি মোটরসাইকেল আমাদের পথ আটকায়। তারা আমাদের কিলঘুষি দিয়ে, কাছে থাকা টাকা পয়সাসহ সবকিছু নিয়ে যায়।’
উল্লেখ্য, শ্যামল দত্ত দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এর আগে, ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া হয়ে সপরিবারে ভারতে যাওয়ার সময় শ্যামল দত্তকে আটকে দিয়েছিল ইমিগ্রেশন পুলিশ। তবে এর পর থেকে তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
অন্যদিকে, মোজাম্মেল বাবু সরকার পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের সভাপতি।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ‘সাংবাদিকতার আড়ালে জাতীয় স্বার্থ এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার’ অভিযোগে যে ৫১ জন সাংবাদিককে কর্মস্থল থেকে বহিষ্কার এবং সাংবাদিক অঙ্গনে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী অন্দোলনকারীরা, সেখানে শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবুর নামও ছিল।