
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ‘আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে আমরা আমাদের কথা বলব। তারা কী জানতে চাইবেন সেটার ওপর নির্ভর করবে আমরা কী বলব। আমরা অতীত থেকে বলে আসছি ভালো নির্বাচন হলেই ভালো সরকার হয় না। টু থার্ড মেজোরিটি পেয়ে ২০০১ সালে এক সরকার এসেছিল আবার ২০০৮ সালে আরেক সরকার এসেছিল। বিএনপি সংবিধান সংশোধ করে তাদের ফেভারে নিয়ে যায়। জাজদের বেতন বাড়িয়ে বিএনপি তাদের নিজস্ব একজন জাজকে প্রধান নির্বাহী করতে চেয়েছিল ইন্টেরিম গভর্নমেন্টের। আর পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ এসে গণতন্ত্রই উঠিয়ে নিয়ে গেছে।’
কাদের বলেন, ‘বিএনপি ২০০৭ সালে এক তরফা নির্বাচন করতে চেয়েছিল। পরে ১/১১ সরকার এসে তা বন্ধ করে দেয়। এক তরফা নির্বাচনে কাউকে কাউকে আনকনটেস্ট ডিক্লেয়ারও করেছিল। কাজেই একই জিনিস পুনরাবৃত্তি না হওয়ার জন্য আমরা চাই যে সংবিধান আমাদের রক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করুক। আইনগতভাবে স্বৈরশাসন সৃষ্টির সুযোগ আমাদের বর্তমান সংবিধানে রয়েছে। এটাকে পরিবর্তন না করে নির্বাচন দিয়ে সরকার গঠন করলে জনগণের জন্য কল্যাণকর কিছু হবে না, আন্দোলনে মানুষের যে প্রত্যাশা তা পূরণ হবে না। তাই সংস্কারের জন্য যতটুকু সময় চায় অন্তর্বর্তী সরকার, তা দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আমরা প্রথম দিন থেকে বলে আসছি কোন কোন বিষয় সংস্কার করতে হবে। বিশেষ করে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ। এগুলো শুরু করার আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন। আমরা দেখলাম সরকার কিছু কমিটি করেছে। তিন মাস যাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। আমরা তখনই বলেছিলাম রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শুরুতেই আলোচনা করা প্রয়োজন। গত সোমবার জানতে পারলাম রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকার আলোচনা করবে। এটাকেও আমি পজেটিভ হিসেবে দেখতে চাই। আমাদের সঙ্গে যদি আলোচনা করেন তাহলে আমরা জানতে চাইব উনারা কী কী শুনতে চান। উনারা যেসব বিষয়ের সংস্কার শুনতে চান তখন আমরা বিস্তারিত তুলে ধরব।’
এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার কর্মসূচি এগিয়ে নিতে চাইলে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় সব রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও ছাত্র-সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। তাই আমরা চলমান সংস্কার কমিটি গঠন, এতে যোগ্য সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি এবং এর কার্যক্রমে পরামর্শ চাওয়াকে স্বাগত জানাই। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা বিষয়ভিত্তিক প্রস্তাব নিয়মিতভাবে দিয়ে যাচ্ছি। আমন্ত্রিত হলে অবশ্যই দেখা করে আমাদের পক্ষ থেকে দলীয় প্রস্তাব দেব। আমরা এই সরকারের শুভাকাক্সক্ষী এবং তারা সফল হোক এটা চাই।’