শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
রাজশাহী মহানগরীর ১৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আল-মামুনের ইন্তেকাল পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদকের গডফাদারকে নিয়ে রাজশাহী-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী’র প্রচারণা রাজশাহীতে নিখোঁজের চার দিন পর শয়নকক্ষ থেকে লাশ উদ্ধার ঢাকায় বড় ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা: ২১ লাখ ভবন ঝুঁকিতে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজধানীতে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট শেখ হাসিনার রায় ঐতিহাসিক -অন্তর্বর্তী সরকার, শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড বিশেষ ট্রাইব্যুনালের রায়কে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা: রাজধানীজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ শুরু, দরিদ্র ও মেধাবীদের পাশে সিটি প্রশাসন পরিবর্তনের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা, ভোট দিতে প্রস্তুত জনগণ : অধ্যাপক আবুল কালাম
এইমাত্র পাওয়া
*** নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক সাদাকালো*** জেলা প্রতিনিধি*** ভিডিও কনটেইনসহ সিভি পাঠান।**dainiksadakalo@yahoo.com**
বাউফলে মারামারির বিএনপি-জামায়াতের সমঝোতা
/ ১৭৮ Time View
সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:০৯ অপরাহ্ন

বাউফলে মারামারির

বিএনপি-জামায়াতের সমঝোতা

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা জায়ামাত ইসলামীর ৩ সমর্থকের ওপর ছাত্রদলের হামলায় ঘটনায় পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলনের পর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।এরপর ঘটনাটি নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা আলোচনায় বসে মিমাংসার মাধ্যমে সমঝোতা করে দিয়েছেন।

গতকাল রবিবার রাতে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ (ফিরোজ) ও উপজেলা জামায়াতের আমির মো. রফিকুল ইসলাম দুই পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা করিয়ে দেন। পরে তারা বাউফল থানায় গিয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেনকে তাদের মধ্যে সমঝোতার কথা জানান।

এর আগে, গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ বাজারে মো. মনিরুজ্জামন ওয়াজিবুল্লাহ্ (৩০) নাইম আবদুল্লাহ্ (২৮) ও মো. আলামিন (২৫) নামে তিন ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করে পিটিয়ে আহত করে স্থানীয় কনকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের অনুসারী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনার পর প্রতিবাদে উপজেলা জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

জামায়াতের ওই বিক্ষোভের প্রতিবাদে কনকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা যুবদলের সদস্য মো. তোফাজ্জেল হোসেন (তপু) বলেন, ‘যারা আহত হয়েছেন তারা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করেছেন। এখন তারা জামায়াত সেজে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। এ কারণে ভুক্তভোগী লোকজন তাদের মেরেছে।’

এ ঘটনাকে সাধারণ নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি আখ্যা দিয়ে দুই পক্ষেরই সমালোচনা করেন। পরে রবিরার রাতে জামায়াত-বিএনপির নেতারা দুই পক্ষকে নিয়ে বসে আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে সমঝোতা করে দেন। এই সমঝোতায় কোনো বিনিময় ছিল না।’

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ (ফিরোজ) ও উপজেলা জামায়াতের আমির মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জামায়াত-বিএনপি এক অপরের বন্ধু। এরপরেও একটু ভুল বোঝাবুঝির কারণে তুচ্ছ একটা ঘটনা ঘটেছে, যা কোনো বিনিময় ছাড়াই সমঝোতা করে দেওয়া হয়েছে। বিগত দিনে বিএনপি-জামায়াত মিলেমিশে শেখ হাসিনার পতনের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছিল এবং আশাকরি দেশের স্বার্থে ভবিষ্যতেও একত্রিত হয়ে সব আন্দোলন সংগ্রাম করবেন।’

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘আহত ব্যক্তিদের অভিযোগ তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ভবিষ্যতে এ জাতীয় ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সে বিষয়ে দুই পক্ষকেই বলে দেওয়া হয়েছে।’

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category