
গত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা অপরাধ করেছেন, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। আজ বুধবার নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনসহ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংশ্লিষ্ট কমিশনারদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা অপরাধ করেছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। বিগত নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেকগুলো অপরাধ হয়েছে। এই অপরাধের বিচার হওয়া দরকার। সেটাও আমরা আলোচনা করেছি। যারা অপরাধ করেছে যাদের অপরাধ প্রমাণ হবে তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আসতে হবে। ’
বিগত তিন কমিশন নাকি সব কমিশনকে বিচারের আওতায় আনবেন-জানতে চাইলে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘যারাই অপরাধ করেছে সবাইকে আসতে হবে।এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আরপিও-তে ৭৩ থেকে ৯০ ধারা মধ্যে নির্বাচনের অপরাধের বিষয়গুলো বর্ণনা আছে। এগুলো যাতে যথাযথ প্রয়োগ হয় এগুলো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
ভোটের ফল ঘোষণার পরে আগের কমিশন যুক্তি দিত যে ফল হওয়ার পরে কমিশনের অপরাধের শাস্তি দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘তারা ইচ্ছে করলেই করতে পারতেন। গেজেট হওয়ার আগে তদন্ত সাপেক্ষে আদালতের সুস্পষ্ট রায় আছে তদন্ত সাপেক্ষে তারা নির্বাচন বাতিল করতে পারতেন। নির্বাচন শুধু বাতিল নয়, তদন্ত সাপেক্ষে পুনঃনির্বাচন দেওয়ার ক্ষমতা তাদের আছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত ক্ষমতা তারা ব্যবহার করেনি।’
ইসির সঙ্গে আজকের আলোচনার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা হয়েছে। তারা (ইসি) যাতে সফল হন সেজন্য সংস্কার প্রস্তাব। দায়-দায়িত্ব, ক্ষমতা ও স্বাধীনতা ও হলফনানা, সীমানা ও ভোটার তালিকা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের এক মাস সময় আছে, এর মধ্যে এগুলো চূড়ান্ত করব। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে যা করার, তাই করবে। তাদের অগাধ ক্ষমতা আছে। নতুন কমিশন কোনো প্রস্তাব দেয়নি, কিন্তু তারা আলোচনা করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আমরাও এক পায়ে দাঁড়িয়ে।’