
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, দৈনিক আমাদের সময় ও জনকন্ঠসহ বেশকিছু জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পোর্টাল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হকের প্রতি সম্পৃক্ত করে ‘প্রয়োজনে তুরাগ নদী রক্তে লাল করে দেব: মামুনুল হক’ শিরোনামে সংবাদ প্রচার করেছে। সংবাদে উল্লেখ আছে, গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর’২৪) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের ৬ নম্বর গেটের সামনে শূরায়ে নেজাম আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলন ও বিক্ষোভ সমাবেশে এর প্রদত্ত বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। আমরা মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক এর ভিডিও বক্তব্য বিশ্লেষণ করে দেখেছি, তিনি এই কথা কোথাও বলেননি। দেশের মূলধারার কয়েকটি মিডিয়া এমন অপপ্রচারে কিভাবে যুক্ত হলো, আমাদের বুঝে আসে না। আমরা প্রচারিত এই ভুল বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচারে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ’
এরপর প্রতিবাদলিপিতে মুহাম্মাদ মামুনুল হক এর বক্তব্যের মূল পয়েন্টগুলো তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, ‘আমাদের হেফাজত বলে গালি দিতেন। আমরা সহ্য করেছি। ইজতেমা নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সহকারী উপদেষ্টা খোদাবক্স এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার নাজমুল করীম খান আওয়ামী লীগের দোসর। তাদের অপসারণ করতে হবে। আমরা সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিলাম। কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে ওই দুজনকে দায় নিতে হবে।’ আলেম সমাজের প্রতিনিধি ধর্ম উপদেষ্টা এখন দেশের বাইরে। এই সুযোগে খোদাবক্স ও কমিশনার নাজমুল করীম এসব করছেন। একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মুরব্বিদের নিয়ে সমস্যা সমাধান করতে হবে। আমরা একবার ২০১৮ সালে রক্ত দিয়েছি। আবার রক্ত দেব। কোনো অবস্থাতেই আত্মমর্যাদার পথ থেকে একচুলও আমরা সরব না। ইসলামের স্বার্থ রক্ষা করে ইসলামের প্রতিটি বিষয়ে আলেম ওলামাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেই আমরা ক্ষ্যান্ত হব ইনশাআল্লাহ।’