বৈষম্য বিরোধী সমাজ গড়তে ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগ

বৈষম্য বিরোধী সমাজ গড়তে ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
করোনাকালীন সময়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে গিয়েছেন মানুষের বাড়ি বাড়ি। পৌঁছে দিয়েছেন খাবার। নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে সেবা করেছেন ইউনিয়নবাসীর। রাজনৈতিক জীবনে সৎ পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্ব ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন বিশ্বাস।
জানা যায়, উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের ২৭ টি গ্রামে ঘুরে ঘুরে সেবা করেছেন মানুষের। ইউনিয়নের বিভিন্ন ভাতা সুষ্ঠু ভাবে দিয়েছেন অসহায় দরিদ্রমানুষের মাঝে। এছাড়াও তিনি প্রতি বছর মসজিদ মাদ্রাসাসহ ধর্মী উপসানালয়ে দিয়েছেন নিজের অর্থ। গ্রামের ঈদগাহ ময়দানের কাজও করেছেন নিজ উদ্যোগে।
এলাকায় মানুষের কাছে তিনি মানবিক চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত।
রাজিব হোসেন নামের এক বাসিন্দা বলেন, নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষ সেবা নিচ্ছেন। সকলের সাথে সমান আচরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান। দেশের ছাত্র-জনতার ধারণা বৈষম্য বিরোধী সমাজব্যবস্থা গড়তে কাজ করছেন জনপ্রিয় এই চেয়ারম্যান।
ইউনিয়নের বাসিন্দা জনি হোসেন বলেন, নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন একজন মানবিক মানুষ। ইউনিয়নের কোন গ্রামে কারো অসুস্থতার কথা শুনলে তিনি ছুটে যান। দলবল নির্বিশেষে মানুষের সেবা করেন তিনি। সকল ধর্মের মানুষের তিনি সমানভাবে সেবা করেছেন।
তিনি বাঘুটিয়া গ্রামের রায়পাড়ায়, ফুলপাড়া এবং রঘুনন্দনপুর গ্রামের মোল্লাপাড়া, বকশিপুর রঘুনন্দনপুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশানের জন্য নিজের ৩১ শতাংশ দান করেছেন। তার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে এখন তার বিরুদ্ধে অপবাদ ছাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কয়েকটি পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় আপোষহীন ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন। অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে বিগত সময়ে তিনি কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। বর্তমানে দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ার পর ওইসব অপরাধীরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার শুরু করেছেন। এলাকায় রাজত্ব কায়েম করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে একটি চক্র।
জানা যায়, রঘুনন্দপুর গ্রামের প্রতারক খাইরুল মোল্লা এলাকায় ইটের দাদন বিক্রি করত। মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ইট দেওয়ার কথা বলত। টাকা নিয়ে চেক দিয়েছে অনেককে। এলাকার মানুষের সাথে প্রতারনা করাই ছিলো খাইরুল মোল্লা, তার ভাই রিয়াজ মোল্লা ও মতিন মোল্লার। দীর্ঘদিন মানুষের সাথে প্রতারনা করার পর স্থানীয়রা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করলে সেই অপবাদ দেওয়া হচ্ছে চেয়ারম্যানের নামে।
সম্প্রতি অভিযোগ করা হয় সাবেক চেয়ারম্যান নাকি চেয়ারম্যানের ভয়ে গ্রামে আসতে পারেন না। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া একটি ছবিতে দেখা যায় মফিজ উদ্দিনের সাথে বসে মোসলেম উদ্দিন আলোচনা করছে। এমন সব মিথ্যাচার শুরু করেছে স্থানীয় একটি চক্র।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে রানু, মোসলেম, সজীব, খাইরুল মোল্লা ,মতিন মোল্লা, কাশেম, মনিরুল, আরজানসহ একটি চক্র এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলবাজি করতে না পেরে অভিযোগ করছে। আমি এই চক্রটির বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :
Leave a Reply
More News Of This Category