
গতকাল শুক্রবার ধনবাডী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে প্রেমিক রবিনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কলেজছাত্র রবিনের সঙ্গে দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর। স্কুলছাত্রীর বাবা খেয়া ঘাটের মাঝি। বাবাকে খাবার দিতে নদীর ঘাটে যাওয়া আসার সময় কলেজছাত্র রবিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রবিন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী গভীর নলকূপের নির্জন ঘরে একাধিকবার ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। এতে ষষ্ঠ শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
ওই ঘটনা জানাজানি হলে রবিন নিজের দোষ এড়াতে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে যায়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এলাকার মাতব্বররা সমাধানের জন্য একাধিকবার বৈঠক করেন। ভুক্তভোগীর পরিবার হতদরিদ্র হওয়ায় মাতাব্বররা ঘটনাটি কালক্ষেপণ করতে থাকেন।
ভুক্তভোগীর মা জানান, গত বৃহস্পতিবার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফারুক হোসেন, প্রফেসর সালাউদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন দোলা, সরুজ মেম্বারসহ মাতব্বররা মিমাংসার বৈঠক করেন। বৈঠকে রবিন এই ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে। সালিস বৈঠকে ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন জোর করে সাদা কাগজে ভুক্তভোগীর স্বাক্ষর রেখে সালিস বৈঠক শেষ করেন এবং ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।
তিনি জানান, গ্রামের মাতব্বররা সঠিক সমাধান দিতে না পারায় স্কুলছাত্রীর সন্তানের পরিচয় ও তার ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থায় ভুক্তভোগীর বাবা সঠিক বিচার না পেয়ে গতকাল শুক্রবার ধনবাডী থানায় বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন।
ধনবাডী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহীদুল্লাহ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান।