
৩৯ কোটি টাকার রাস্তার বেহাল দশা!
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে ৩৯ কোটি টাকার রাস্তা দেড় বছর যেতে না যেতেই ভেঙ্গে গেছে।
ইতিমধ্যে ভাঙ্গন ঠেকাতে দেড় বছরে রাস্তাটি তিনদফায় মেরামত করা হয়েছে। সর্বশেষ ১০২ মিটার ভাঙ্গা সড়ক মেরামতে ৩২ লাখ টাকা ব্যায় করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, মহেশপুর পৌরসভার সামনে কপোতাক্ষ নদের ধার ঘেষে যাওয়া খালিশপুর-যাদবপুর ভায়া জিন্নানগর সড়কের ভাঙ্গন ঠেকাতে মাত্র ৩ মাস আগে ব্যয় করা হয়েছে ৩২ লাখ টাকা।
কিন্তু এই টাকা কোনো কাজে আসেনি। চলতি সপ্তাহের বৃষ্টিতে আবারো ধসে পড়েছে সড়কটি। এক বছর আগে সেখানে প্যালাসাইটিং বসিয়ে আরেক দফা ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ উঠেছে সংষ্কার কাজ করা হলেও মান ঠিক না থাকায় মাস না যেতেই আগের অবস্থায় ফিরে যায়। তবে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের দাবি, দুই বছর আগে নদী খননের সময় তলদেশ থেকে মাটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে তারা ভাঙ্গন রোধে যেভাবেই চেষ্টা করছে কোনো কাজে আসছে না।
এদিকে মহেশপুর উপজেলার ব্যস্ততম সড়ক এভাবে ভেঙ্গে পড়ে থাকায় যানবাহন চলাচলে মারাত্বক ক্ষতি হচ্ছে। ভারি যানবাহন শহরের মধ্য দিয়ে চলাচল করায় তীব্র জানযটের সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় অধিবাসি আসাদুজ্জামান রিপন জানান, মহেশপুর উপজেলার মানুষের চলচলের জন্য এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপুর্ন। সড়কটি খালিশপুর থেকে কপোতাক্ষ নদের ধার দিয়ে মহেশপুর শহর হয়ে দত্তনগর, জীন্নানগর ও যাদবপুর গেছে।
আগে সড়কটি খুবই খারাপ ছিল। ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৩৯ কোটি টাকা ব্যায়ে ওই সড়কটির সাড়ে ৪৮ কিলোমিটার সংষ্কার কাজ করা হয়। ২০২৩ সালের শেষ দিকে সড়কটিতে ধস দেখা দেয়। ওই স্থানের ১০২ মিটার জায়গার পিচ-পাথর ধ্বসে গর্তের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দা জামিরুল ইসলাম জানান, সড়ক বিভঅগ বার বার মেরামত করছে। কিন্তু বার বারই ধ্বসে পড়ছে। এতে সরকারী অর্তের অপচয় হচ্ছে। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল কবীর জানান, সড়কের এই ভাঙ্গন নিয়ে তারাও চিন্তিত।
সড়কটি ৩ বছর আগে যখন সংষ্কার হয়েছিল, তখন কোনো সমস্য দেখা দেয়নি। পরে কপোতাক্ষ নদ খননের পর এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, খননের সময় ভেতরের মাটি কেটে পাড় বাঁধা হয়। এখানে সেটা করা হয়নি।
নদ এর ভেতর থেকে কাটা মাটি সড়কের উপর রাখা হয়েছিল, ওই মাটি পরে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখন তারা শক্ত কোন প্রকল্প গ্রহন করা যায় কিনা তার সম্ভব্যতা যাচাই করছেন।