ভয় দেখিয়ে রাজনৈতিক দলে টানতে চাইলে প্রতিবাদ করবে’ – বাকৃবির উপাচার্য

বাকৃবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘কোন রাজনৈতিক দল যদি তোমাকে মোটিভেট করে নিতে পারে তবে যাও, কিন্তু যদি ভয় দেখিয়ে রাগ দিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তবে তার প্রতিবাদ করবে। একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে, প্রতিরোধ করবে। তোমাদের শিক্ষকরা অন্য দেশে সুযোগ না নিয়ে তোমাদের জন্য, দেশের জন্য কাজ করার জন্য আবার বাংলাদেশে ফিরে এসেছে। তোমরাও ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য অবদান রাখবে, দেশকে ভালবাসবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রত্যেক শিক্ষকের কাছে অনেক ভালো ভালো বইয়ের কালেকশন আছে। আমাদের সময় ফটোকপি মেশিন তখন ছিল না। সবাই তখন লাইব্রেরীতে পড়াশোনা করতো। লাইব্রেরী হচ্ছে সব থেকে ভালো জায়গা পড়াশোনা করার জন্য। সামনের দিনে আমরা এমনও চিন্তা করতেছি যেখানে ফোন আলাদা একটা জায়গায় রেখে পড়াশোনা করতে হবে’।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। ভেটেরিনারি অনুষদ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর অনুষদে প্রায় ১৮০ জন দেশি শিক্ষার্থী ও ২০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোমেনা খাতুন। ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের পরিচয় পর্ব শেষে ভেটেরিনারি অনুষদের ভবন, পাঠদান পদ্ধতি ও সকল বিভাগ নিয়ে প্রেজেন্টেশন দিয়েছেন মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তোফাজ্জল হোসেন।
এসময় ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান বলেন, ‘আজকে থেকে তোমরা বন্ধু হয়ে গেলে, আমরন এই বন্ধুত্ব অটুট থাকবে। এমনভাবে কাজ করতে হবে যেন কেউ কাউকে হেয় করবে না, কাউকে সরিয়ে দিব না, একজন আরেকজনকে সাহায্য করবে। প্রথম থেকেই প্রায়োরিটি সেট করতে হবে। পড়ালেখার পরিকল্পনা করতে হবে, কিভাবে পড়ব, কোন কোর্সে কোন রেজাল্ট চাই, অতিমাত্রায় মোবাইল ফোন নির্ভর না হয়ে খাতায় লিখার অভ্যাস করতে হবে। ভালো একাডেমিক অভ্যাস ডেভেলপ করতে হবে। পড়ালেখার পাশাপাশি এক্সট্রা-কারিকুলার কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে। আনন্দের সাথে পড়ালেখা করতে হবে।’
অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে নবীন শিক্ষার্থী সোহান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকরা বিশ্বমানের। আমরাও তাদের মতো হতে চাই। আশা করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা আমাদের শিক্ষককে পাশে পাবো।’
আপনার মতামত লিখুন :
Leave a Reply
More News Of This Category