শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
রাজশাহী মহানগরীর ১৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আল-মামুনের ইন্তেকাল পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদকের গডফাদারকে নিয়ে রাজশাহী-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী’র প্রচারণা রাজশাহীতে নিখোঁজের চার দিন পর শয়নকক্ষ থেকে লাশ উদ্ধার ঢাকায় বড় ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা: ২১ লাখ ভবন ঝুঁকিতে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজধানীতে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট শেখ হাসিনার রায় ঐতিহাসিক -অন্তর্বর্তী সরকার, শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড বিশেষ ট্রাইব্যুনালের রায়কে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা: রাজধানীজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ শুরু, দরিদ্র ও মেধাবীদের পাশে সিটি প্রশাসন পরিবর্তনের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা, ভোট দিতে প্রস্তুত জনগণ : অধ্যাপক আবুল কালাম
এইমাত্র পাওয়া
*** নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক সাদাকালো*** জেলা প্রতিনিধি*** ভিডিও কনটেইনসহ সিভি পাঠান।**dainiksadakalo@yahoo.com**
শিশুকে গর্তে পুঁতে রেখে মুক্তিপণ দাবি, ভিডিও ভাইরাল
/ ১৬৭ Time View
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ৩:৫৯ অপরাহ্ন

কক্সবাজারের উখিয়ায় নিখোঁজ এক রোহিঙ্গা শিশুকে মাটির গর্তে পুঁতে রাখার ভিডিও পাঠিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা ঘটেছে। ভিডিওতে ওই শিশুটি রোহিঙ্গা ভাষায় তার বাবাকে দ্রুত টাকা পরিশোধ করার আকুতি জানায়।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এরপরই ভিডিওটি নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন নেটিজেনরা। ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা নিশ্চত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসেন।

ভাইরাল ভিডিওতে শিশুকে বলতে শোনা যায়, ‘আব্বা তরাতরি চেষ্টা গর। মরে গাতত ঘলায় ফিল্লে। টিয়া দে। (বাবা দ্রুত চেষ্টা কর। আমাকে গর্তে পুঁতে ফেলেছে। টাকা দাও)।’

পুলিশ, রোহিঙ্গা নেতাসহ একাধিক জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৫ সেকেন্ডের এই ভিডিও গত ১০ জানুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়ার অজ্ঞাত স্থানে ধারণ করা হয়। ভিডিওর ওই শিশুটির নাম মোহাম্মদ আরাকান (৬)। সে উখিয়ার থাইংখালী-১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-১৫ ব্লকের আবদুর রহমান ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে। সে গত ৮ জানুয়ারি আরাকান ক্যাম্পের খেলার মাঠ থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর ১০ জানুয়ারি তার মা-বাবা এই ভিডিও বার্তা পান। নিখোঁজ আরাকানের সন্ধানে আগেই তার মা-বাবা থানায় জিডি করেছিলেন। ভিডিও দেখার পর তাঁরা নিশ্চিত হন, তাঁদের ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে।

অপহরণকারীরা আরাকানের মুক্তির জন্য ৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারীদের কথা অনুসারে দেখিয়ে দেওয়া স্থানে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আসেন আরাকানের স্বজনেরা। এতেও আরাকানকে না ছাড়ায় ধারদেনা করে আরও ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেন। এরপর গত ১৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুতুপালং এলাকার এমএসএফ হল্যান্ড হাসপাতালের সামনে শিশুটিকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা।

শিশুটির বাবা আবদুর রহমান জানান, গত ৮ জানুয়ারি বেলা ২টার দিকে এপিবিএন অফিস সংলগ্ন খেলার মাঠে খেলতে গিয়ে আর ফেরেনি আরাকান। দুই দিন ধরে আরাকানের সন্ধানে তাঁরা বিভিন্ন ক্যাম্পে ঘুরেছেন। পুলিশের কাছেও গেছেন। এপিবিএনের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। এরপর গত ১০ জানুয়ারি দুটি মুঠোফোন (০১৭৬-৬৫৭৫৪৬৬ ও ০১৮৯৮-৮২১৪২৯) নম্বর থেকে কল দিয়ে বলা হয়, তাঁর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। ছাড়িয়ে নিতে হলে ৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। টাকা না পেলে ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তারা।

আবদুর রহমান আরো জানান, অপহরণকারীরা দাবি করা টাকা আদায় করতে ছেলেকে মাটিতে পুঁতে রেখে ভিডিও করে। আমার স্ত্রীর কানের দুল বিক্রি করে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা পাঠাই। এরপরও তাকে না ছাড়ায় ক্যাম্পের আত্মীয়স্বজনসহ অন্যান্য লোকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পাঠাই। এরপর গত ১৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে এমএসএফ হাসপাতালের সামনে আরাকানকে ফেলে যায় তারা।

উখিয়া থানার ওসি আরিফ হোসেন বলেন, শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য মতে , গেল এক বছরের বেশি সময়ে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৯৩ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে একই সময়ে উখিয়ায় বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ৮৬ জনকে অপহরণ করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category