
এএসআই মেসবাহ ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পারদখলপুর গ্রামের মৃত মহি উদ্দীনের সন্তান।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভাটারা থানার জে-ব্লক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত এএসআই মো. মেসবাহ উদ্দিনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাকে দেখতে দেখেন ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। মেসবাহর এই সাহসিকতার জন্য তাকে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন আইজিপি (ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ) বাহারুল আলম।
ভাটারা থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় ওয়ারেন্টভুক্ত চিহ্নিত চাঁদাবাজ মো. মোবারক হোসেন নাফিজ তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে ভাটারা থানার জে-ব্লকের ফুটপাতের বিভিন্ন দোকান থেকে ভয় দেখিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে এএসআই মো. মেসবাহ উদ্দিনসহ থানার টহল টিম দ্রুত সেখানে পৌঁছায়। চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারের চেষ্টাকালে চাঁদাবাজ নাফিজ এএসআই মেসবাহ উদ্দিনকে চাকু ও হাতে থাকা স্টিলের কাটা চামচ দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে তিনি বাম চোখে গুরুতর আঘাত পান। গুরুতর আঘাত সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালনে অনড় থেকে নাফিজকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় নাফিজের সহযোগীরা জন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে নাফিজের কাছ থেকে হতে একটি সুইচ গিয়ার চাকু, একটি স্টিলের রক্তমাখা কাটা চামচ, বিভিন্ন দোকান থেকে চাঁদাবাজির মাধ্যমে আদায় করা টাকা জব্দ করা হয়।
আহত এএসআই মেসবাহ উদ্দিন বলেন, জনগণের জান-মাল রক্ষায় সবসময় আমি আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার চোখের ওপর গুরুতর আঘাত পাওয়া সত্ত্বেও এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার আমি অনড় ছিলাম। অবশেষে সাথে থাকা পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতেও যেকোনো পরিস্থিতিতে অর্পিত দায়িত্ব পালনে তৎপর থাকবেন বলেও জানান তিনি।