
ঘরের মাঠে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের কাছে বাজেভাবে হারে পাকিস্তান। দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াডে পরিবর্তন এনে ঢোকানো হয় স্পিনার সাজিদ খান ও নুমান আলীর মতো অভিজ্ঞদের। একাদশে ঢুকেই এই দুজনের বাজিমাত। দুজন মিলে দুই ইনিংসে ইংল্যান্ডের ২০ উইকেট নিয়ে দলকে এনে দেন জয়, সিরিজে সমতা। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টেস্টেও দাপট এই দুজনের।
রাওয়ালপিন্ডিতে চলমান এই টেস্টে বোলিং তো আছেই, ব্যাটিংয়েও দলের ত্রাণকর্তা হয়ে এসেছেন সাজিদ ও নুমান। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৬৭ রানে অলআউট হয়। জবাব দিতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও সৌদ শাকিলের সেঞ্চুরি ও নুমান-সাজিদের জোড়া চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসে ৩৪৪ রান করে পাকিস্তান।
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান লিড পায় ৭৭ রানের। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে জবাব দিতে নেমে ২৪ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের রান অতিক্রম করতে বেন স্টোকসের দলের এখনো দরকার ৫৩ রান।
প্রথম ইনিংসে ৭৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আজ দ্বিতীয় দিন সকালে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। ১৭৭ রান করতেই আরও ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান। শান মাসুদ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, আগা সালমান কিংবা আমের জামাল; কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে একপ্রান্ত আগলে ছিলেন সৌদ শাকিল।
অষ্টম উইকেটে নুমানকে নিয়ে ৮৮ রানের জুটি গড়েন শাকিল। ২৬৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪৫ রান করে ফেরেন নুমান। এরপর শাকিলের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে দাপট দেখান বোলিংয়ের নায়ক সাজিদও। এই দুজন গড়েন ৭২ রানের জুটি। দলীয় ৩৩৭ রানের মাথায় শাকিল ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এরই মধ্যে ২২৩ বলে ১৩৪ রানের ইনিংস খেলে ফেলেছেন শাকিল। তার আউটের পর হাফ সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সাজিদ। তবে প্রথম বলেই শেষ ব্যাটার জাহিদ মাহমুদ বোল্ড হলে এই মাইলফলক ছোয়া আর হয়নি। ৪৮ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন সাজিদ। পাকিস্তান করে ৩৪৪ রান।
শেষ বিকেলে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে আবারও বোলিং ভেলকি দেখান সেই সাজিদ-নুমান। ২৪ রান তুলতেই তুলে নেন জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট ও ওলি পোপের উইকেট। এর মধ্যে প্রথম উইকেট সাজিদের, বাকি ২টি নুমানের।