
মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে খুব বেশি রান করলেও জিততে সমস্যা হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে দলটি। ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৭৫ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে দলটি।জবাব দিতে নেমে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ ইনিংস। মাত্র ৩২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়েছে দলটি।
শেষমেশ ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের থেকে প্রথম ইনিংসে এখনো ৫৩৭ রানে পিছিয়ে টাইগাররা। উইকেটে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর (৪*) সঙ্গে আছেন মুমিনুল হক (৬*)।
৫৭৫ রানের পাহাড় অতিক্রম করতে নেমে প্রথম ওভারেই সাদমান ইসলামকে হারায় বাংলাদেশ। কোনো রান না করেই ফেরেন তিনি। ভারত ও পাকিস্তান সিরিজে ব্যর্থ হওয়া জাকির ব্যর্থ চট্টগ্রাম টেস্টেও। মিরপুর টেস্টে দলে না থাকা এই টপ অর্ডার আজ আউট হয়েছেন ২ রান করেই। এরপর ২৯ ফেরেন আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। দিনের শেষভাগে নাইটওয়াচম্যান ব্যাটার হিসেবে পাঠানো হয়েছিল হাসান মাহমুদকে। তবে টিকতে পারলেন না তিনি। ৭ বলে ৩ রান করেই আউট হয়ে যান তিনি। ৩২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দল। শেষ পর্যন্ত একই উইকেটে ৩৮ রান তুলে দিন শেষ করে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টনি ডি জর্জি, ত্রিস্তান স্টাবস ও উইয়ান মুল্ডারের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৭৫ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছে প্রোটিয়ারা। গতকাল মঙ্গলবার টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান করে প্রথম দিন শেষ করে প্রোটিয়ারা। আগের দিন ২ উইকেটের পর আজ দ্রুতই ৩টি উইকেট নেন এই বাঁহাতি স্পিনার। চার শ’র আগেই ডেভিড বেডিংহ্যাম, কাইল ভেরেইন্নি ও টনি ডি জর্জিকে ফেরান তাইজুল।
আজ বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন তাইজুল। ডেভিড বেডিংহ্যামকে সরাসরি বোল্ড করেন। ৭৮ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৯ রান করেন এই ডানহাতি। পরে ম্যারাথন ইনিংস খেলা টনি ডি জর্জিকে এলবির ফাঁদে ফেলে তাইজুল। জর্জি ২৬৯ বলে ১২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৭৭ রান করেন। দ্বিতীয় উইকেটে টনি ডি জর্জির সঙ্গে ১৪৮ বলে ১১৬ রানের জুটি গড়েন বেডিংহ্যাম।
চার শ’র পরপর রায়ান রিকেলটনকে উইকেটকিপার মাহিদুল ইসলাম অংকনের ক্যাচে ফেরান নাহিদ রানা। ৪১ বলে ১২ রান করেন রিকেলটন। ৪২৩ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে আবারও ঢাল হয়ে দাঁড়ান উইয়ান মুল্ডার ও মুতুসামি।
মিরপুর টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির পর চট্টগ্রামে প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন মুল্ডার। ১৫০ বলে অপরাজিত ১০৫ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। মুল্ডার সেঞ্চুরি করার পরপরই ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। মুল্ডার ও মুতুসামি গড়েছেন ১৫৪ রানের জুটি।এই মাঠে সপ্তম উইকেট বা এর নিচে সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। এর আগে সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল ১২৭, দশম উইকেট জুটিতে সেই রান তুলেছিলেন বিজে ওয়াটলিং ও ট্রেন্ট বোল্ট।